টেকনাফসারাদেশ

হ্নীলায় দখল-জবরদখল নিয়ে উত্তেজনা:একপক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,টেকনাফ:টেকনাফের হ্নীলায় একটি বিরোধীয় জমি দখল ও জবর দখল নিয়ে নিকটাতœীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলে আসছে। এতে একপক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য মিথ্যা মামলাসহ পরিকল্পিত বাড়ি-ঘর পুড়ানো মামলায় জড়ানোর চক্রান্ত করছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়-উপজেলার হ্নীলা আলীখালীর মৃত নুর উদ্দিনের রেখে যাওয়া ৬কানি ভূ-সম্পত্তি নিয়ে দু‘পুত্র আমিন শরীফ-কাবিল শরীফের ওয়ারিশ ফরিদ আলম গং এবং নুরুল আলম গংয়ের মধ্যে জমি ক্রয় ও মিরাজী সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধের কারণে দখল-জবরদখলসহ মামলা-মোকর্দ্দমা চলে আসছে।
আব্দুস শুক্কুরের পুত্র নুরুল আলম গং কাবিল শরীফ হতে মিরাজী ৩কানি জমির ভোগ-দখলীয় মালিক। আমিন শরীফের ওয়ারিশী ফরিদ আলম গংয়ের আব্দুল আজিজ ও পরীজান হতে নুরুল আলম আড়াই কানি জমি কিনে নেয়। মোট সাড়ে ৫কানি জমি নুরুল আলম গং ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় আব্দুস সালামের পুত্র ফরিদ আলম গংয়ের লোকেরা মিরাজী দাবীদারের অজুহাতে উক্ত ভোগদখলীয় জমিতে ১২ডিসেম্বর ভোররাতে জোরপূর্বক বাসা তৈরী করে জমি জবর দখলে নেয়। উক্ত জবর দখলকারীরা এই সুযোগ নেওয়ার জন্য আগে হত্যা,ডাকাতি,জঙ্গিবাদ ও মসজিদের বিরোধের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছে। এই সুযোগে আমার ভোগ-দখলীয় জমি জবর দখলে নিয়েছে। এদিকে জবর দখলে অভিযুক্ত পক্ষের ফরিদ আলম জানায় এটি আমাদের মিরাজী সম্পত্তি তাই আমরা দখল করেছি। এই ব্যাপারে স্থানীয় জামাল হোছাইন মেম্বার বলেন-উক্ত জমি ৪০বছর পূর্ব থেকে আব্দুস সালামের পুত্র ফরিদ আলম ও শামসু আলম গং ভোগদখল করে আসছে। গত ৪/৫বছর আগে আব্দুস শুক্কুরের পুত্র নুরুল আলম গং ভোগদখল করেছিল। কাল আবারো শামসুল আলম গং দখলে নিয়েছে। তবে উভয়পক্ষ বসে কাগজ-পত্র যাচাই-বাচাই না করলে কার জমি কতটুকু বলা যাচ্ছেনা। স্থানীয় সচেতনমহল বিরোধীয় এই জমি নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা না হলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন।

Comment here