ক্রাইমটেকনাফ

টেকনাফে ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচার সাম্রাজ্যের কিং আরমান অধরা


ক্রাইম প্রতিবেদক ,টেকনাফ ভিশন ডটকম :
টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা পাচারে সক্রিয় রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দেশে ঢুকছে ইয়াবার বড় বড় চালান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সিন্ডিকেটের ইয়াবা লুটপাট নিয়ে চলছে তোলপাড়। শক্তিশালী এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রক হচ্ছে মৌলভী আরমান । শুধু ইয়াবা নয় মিয়ানমার থেকে স্বর্ন পাচারেও ওঠে আসে তার নাম। জানা যায়, গত ৭ মার্চ রাতে শাহপরীরদ্বীপ মাাঝের পাড়ায় ঘটে ইয়াবা লুটপাটের ঘটনা। ওই দিন রাতে মিয়ানমার থেকে ফিশিং ট্রলারে চালান আসে ৬ লাখ পিচ ইয়াবার। ট্রলার থেকে আনলোড করার এক পর্যায়ে এলাকার অপর একটি সিন্ডিকেট এসব ইয়াবা লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কয়েকদফা হানা দেয়। তবে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী লুন্ঠিত ইয়াবার সন্ধান না পেলেও স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
সরেজমিনে খোজঁ নিয়ে জানা যায়, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ উত্তর পাড়ার মৃত. নুরুল হক মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ আরমান ওরফে মৌলভী আরমানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যসের পাচাকরারীর একটি সিন্ডিকেট কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে। এ সিন্ডিকেটের অপর সদস্য শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার মৃত. মৌলভী সিরাজের ছেলে আতা উল্লাহ চট্টগ্রামে তার এজেন্ট হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে। পারিবারিক অর্থ বৈভব থাকা স্বত্বেও নিজেকে ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে রাতারাতি অঢেল অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়েন এই আরমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক লোকজন জানান, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগর হয়ে শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছে আরমানের কাছে। সেখান থেকে আরমানের সিন্ডিকেটে থাকা লোকজন রাতের অন্ধকারে এসব ইয়াবা গোপনে নিরাপদে নিয়ে গিয়ে পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে। শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার মৃত মৌলভী সিরাজের ছেলে আতা উল্লাহ চট্টগ্রামে তার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বলেও জানা যায়।
এদিকে গত ৭ মার্চ রাতে ইয়াবার এমন বড় একটি চালানের নিয়ন্ত্রন নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় এবং কিছু ইয়াবা প্রতিপক্ষের কাছে খোয়া যায় এবং বাকী ইয়াবা গুলো তার লোকজন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে চালানটিতে অন্তত ৬ লাখের বেশি ইয়াবাসহ স্বর্ণের বারও থাকতে পারে। বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থাসহ স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়লে আরমান গা ঢাকা দেয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন খান জানান, সিন্ডিকেট এবং ইয়াবা লুটপাটের বিষয়টি পুলিশের নজরে রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Comment here