টেকনাফ

ডিএনসি ধরেছে ইয়াবা সহ চটপটি ব্যবসার আড়ালে দু” ইয়াবা কারবারি : কোস্ট গার্ড জব্দ করেছে ১০ হাজার পিস ইয়াবা এবং ১৩৭ ক্যান বিয়ার

ডিএনসি ধরেছে ইয়াবা সহ চটপটি ব্যবসার আড়ালে দু” ইয়াবা কারবারি :
কোস্ট গার্ড জব্দ করেছে ১০ হাজার পিস ইয়াবা এবং ১৩৭ ক্যান বিয়ার

টেকনাফ প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের টেকনাফে চটপটি ব্যবসার আড়ালে চলছিল ইয়াবার কারবার। তবে শেষ রক্ষা হলো না চটপটির দোকানদার জহির আহমেদের (৩৭)। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেকনাফ সদরের মেরিন ড্রাইভের শিশু পার্ক সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোন।
এসময় জহিরের কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে তার সহযোগী মোহাম্মদ করিম উল্লাহ( ২৫)-কে আটক করা হয়। জহির টেকনাফ সদরের খোনকার পাড়া এলাকার আব্দুস শুক্কুরের ছেলে এবং একই এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে করিম উল্লাহ।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিশ্চিত করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফা। তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জহির আহমেদ ও তার সহযোগী কলিম উল্লাহকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। চটপটির দোকানদার জহির টেকনাফের একটি শীর্ষ ইয়াবা সিন্ডিকেটের মূল হোতা বলে জানা গেছে। তাকে আটক করায় তার সিন্ডিকেট সদস্যদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান- ইয়াবা ও আটক দুই আসামি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মামলা দায়েরের পর টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর দিকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা এবং ১৩৭ বিয়ার ক্যান জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ১ টার সময় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোন অধিনস্থ বিসিজি স্টেশন টেকনাফ সদস্যরা হ্যাচ্ছার খাল সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এসব উদ্ধার করা হয়।
কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. এস এম তাহসিন রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,
অভিযানে খালের পাশে প্যারাবনের মধ্যে ২ জন ব্যক্তির আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। ব্যক্তিদ্বয়ের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্টগার্ড সদস্যরাব থামার সংকেত দেয়। সন্দেহজনক ব্যক্তিরা কোস্টগার্ড এর উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড সদস্যরা প্যারাবনে তল্লাশী চালিয়ে ঝোঁপের মধ্যে লুকানো অবস্থায় বাদামী রঙের একটি বস্তা হতে ১০ হাজার পিস ইয়াবা এবং ১৩৭ বিয়ার ক্যান জব্দ করে। ধারনা করা হচ্ছে পাচারের উদ্দেশ্যে উক্ত ইয়াবা ও বিয়ার ক্যান সমূহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। জব্দকৃত ইয়াবা এবং বিয়ার ক্যান পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Comment here