আন্তর্জাতিকক্রাইমটেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

বিজিবি”র পৃথক অভিযান : রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের দু” সদস্য আটক : আইস, হ্যান্ড গ্রেনেড, অস্ত্র -গুলি উদ্ধার

বিজিবি”র পৃথক অভিযান :

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের দু” সদস্য আটক : আইস, হ্যান্ড গ্রেনেড, অস্ত্র -গুলি উদ্ধার

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ ভিশন :

টেকনাফে পৃথক দু’টি অভিযানে তিনজন আসামীসহ ২.১৪০ কেজি আইস, ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি বিদেশী পিন্ডল, ১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩৭ রাউন্ড গুলি, ১টি হাত দা, ১টি বাস এবং ১টি কাঠের নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃত আসামীরা হলো কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং ৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ/৩ ব্লকের মোঃ শরীফ “র ছেলে মোঃ জুবায়ের (৩০) ও কুতুপালং ২ নং ক্যাম্পের ডি/৫ ব্লকের আমির হোসেন’র ছেলে মোঃ আনোয়ার (১৯)।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) জানান, ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদস্যরা দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৭ হতে ৬০০ গজ উত্তর দিকে বড়ইতলী বক্করের জোড়া নামক এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও মাদকের একটি চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি’র দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। সকাল সাড়ে ১১ টার সময় পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল সন্দেহভাজন চারজন ব্যক্তিকে দু’টি নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বড়ইতলী বক্করের জোড়া নামক এলাকার দিকে আসতে দেখে। উক্ত দু’টি নৌকার মধ্যে একটি নৌকা বক্করের জোড়া খালের ভিতরে প্রবেশ করলে টহলদল উক্ত নৌকায় অবস্থানরত দুইজন ব্যক্তিকে ঘেরাও আটক করে।এরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।
পিছনে থাকা অপর নৌকাটি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত ঘুরিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল আটককৃত নৌকাটি তল্লাশি করে নৌকা হতে ১টি দেশীয় তৈরী দুই নলা বন্দুক, ১টি বিদেশী পিজল, ১টি হাত দা এবং নৌকার পাটাতনের নীচে একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ২.১৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করে। এছাড়াও আটককৃত আসামীদের মধ্যে একজনের কোমড়ে পরিহিত বেল্টের সাথে একটি কাপড়ের ব্যাগ হতে ৮ রাউন্ড পিত্তলের গুলি, ১০ রাউন্ড এমজি’র গুলি, ১১ রাউন্ড এসএমজি’র গুলি, ৮ টি বন্দুকের কার্তুজ, ১টি আর্জেস হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩টি গুলির খালি খোসা এবং এক”শ বাংলাদেশী নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী একটি বাস (সমুদ্রতরী) হোয়াইক্যং চেকপোস্টে তল্লাশী চালিয়ে বাসের চালক কক্সবাজার সদর থানার দক্ষিণ জানারঘুনা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ওমর ফারুক (২০) এর
স্বীকারোক্তিতে চালকের সীটের নীচে অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে উক্ত বাসটিও জব্দ করা হয়।
আটককৃত আসামীদেরকে জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস, ইয়াবা ট্যাবলেট, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বাস এবং কাঠের নৌকাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস)।

Comment here