ক্রাইমটেকনাফ

ভোগরত জমি দখলে নিতে মরিয়া সিন্ডিকেট: টেকনাফে আদালতের আদেশ না মানার অভিযোগ

ভোগরত জমি দখলে নিতে মরিয়া সিন্ডিকেট:

টেকনাফে আদালতের আদেশ না মানার অভিযোগ

টেকনাফ প্রতিনিধি :

যুগ যুগ ধরে ভোগরত জমি দখলে নিয়ে মরিয়া টেকনাফের একটি সিন্ডিকেট। চক্রটি
ভূল রেকর্ডিয় জমি থেকে জমি কিনে গোপনে খতিয়ান সৃষ্টি করে হয়রানি করছে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
আদালতে রেকর্ড সংশোধন ও নিষেধাজ্ঞা মামলা চলমান থাকার পরও কৌশলে রাতের অন্ধকারে ঘেরাবেড়া দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে সিন্ডিকেট।
টেকনাফের উপকূলীয় বাহারছড়া ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড নোয়াখালী জুম্পা পাড়ায়
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে
হোসাইন আহমদ গংয়ের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য এলমুন্নাহার।
তিনি জানান, আর এস ১৫৬ খতিয়ানের ৪০ শতক জমি ১৯৮৪ সালে কবলা মূলে গোলাম কাদের থেকে কিনে নেন এলমুন্নাহারের পিতা হাজী মকতুল হোসেন। কিন্তু ইত্যবসরে বিএস রেকর্ডেও গোলাম কাদেরের নাম লিপিবদ্ধ হয়।শুধু তাই নয় অন্য ওয়ারিশ গণের কিছু অংশ গোলাম কাদেরের অনুকূলে অতিরিক্ত লিপিবদ্ধ হয় বিএস রেকর্ড। সমুদয় জমি যুগ যুগ ধরে দখলে রেখে ভোগ করছেন এলমুন্নাহার। এ ফাঁকে গোলাম কাদেরের নামে অতিরিক্ত ভূল রেকর্ড হওয়া জমি থেকে কৌশলে বিএস ৩০০ খতিয়ান থেকে ১০ শতক জমি কিনে ১২০১ নং সৃজিত খতিয়ানে স্বত্ববান হন স্হানীয় হোসাইন আহমেদ। তারপর প্রায় ১০ বছর ধরে জমির দখলে না নিয়ে আরেক ভাইকে বিক্রি করে ফের সৃজিত খতিয়ান সৃষ্টি করে। তারপর দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। তারপর শুরু হয় এলমুনৃনাহার ও হোসাইন আহমেদ এর মধ্যে বিরোধ।

এলমুন্নাহার বলেন, আর.এস . ২৭৮১, ২৭৯৮, ২৭৮৯, ২৭৮৩, ২৭৯৪ নং দাগাদির আন্দরে তৎ তুলনামূলক বি.এস. ৫০৫৯, ৫০৬০, ৫০৬১ নম্বর দাগের ৪০ শতক জমি ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে মৌখিক দান করেন। উক্ত দানকৃত জমির সরেজমিনে দখল বুঝাইয়া দেন। প্রাপ্ত জমিতে টিনের ছাউনী, টিনের বেড়াযুক্ত একটি বসত গৃহ নির্মাণ, গৃহে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণে বিদ্যুৎ মিটার স্থাপন, ইউনিয়ন পরিষদ হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করে বসত বাড়ী, ভিটি ও বাগানের স্বত্ববান ও ভোগ দখলকার আছেন। এ ছাড়া স্বত্ব দখলীয় জমির আন্দরে কতেক অংশে তিন তলা ফাউন্ডেশনযুক্ত পাকা দালান গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করে কলাম ছাদবিমসহ সম্পন্ন করেন। এর উপরে টেলিটক কোম্পানীকে মোবাইল টাওয়ার ভাড়া দেই। এমন শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে যাতে কোন সময়ে জটিলতা সৃষ্টি না হয় কিংবা ভোগ দখলে কোন বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য পিতা মকবুল আহমদ প্রকাশ মকবুল হোছাইন প্রকাশ হাজী মকতুল হোছন মৌখিক দানের সমর্থনে বিগত ২০০৮ সালে ১৫০/- টাকার নন- জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে এলমুন নাহার বরাবরে একখানা চিরস্থায়ী দানপত্র দলিল সম্পাদন করে দেন। দলিলে ভাই মোঃ আয়াছ ও ছৈয়দ হোছন এবং বায়াদার গোলাম কাদেরের ছেলে ও এলমুন্নাহারের স্বামী
আহমদ হোছাইন স্বাক্ষী হিসাবে দপ্তখত করেন।
তিনি আরো জানান, বহু অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগে দান সূত্রে প্রাপ্ত তাহার স্বত্ব দখলীয় জমির উন্নয়ন সাধন করেছেন। সম্প্রতি এলাকায় জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় শত্রু, ভূমিদস্যু, প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের লোভী দৃষ্টি পড়ে। নিরীহ ও অসহায় মহিলা পেয়ে তারা
শক্তি প্রয়োগ ও প্রতারণার মাধ্যমে জমি হতে উচ্ছেদ করার জন্য সম্প্রতি পাঁয়তারা শুরু করে।
হোসাইন আহমেদ গং সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল প্রকৃতির ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক জমি হতে উচ্ছেদ করে জমি দখলে নিতে ভয়-ভীতি দিয়ে যাচ্ছে । বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে গণমাধ্যম কে জানিয়েছেন এলমুন্নাহার। উক্ত জমির বিষয়ে এলমুন্নাহার গত ৩ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে বিজ্ঞ টেকনাফ সহকারী জজ আদালতে উচ্চারণ ও চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার মোকদ্দমা নং-৩৪/২৩। তারপরও মানছে না প্রতিপক্ষ লোকজন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বিবাদী হোসাইন আহমদ জানান, আমরা বিএস রেকর্ড মূলে এলমুন্নাহারের শ্বশুর গোলাম কাদের থেকে ২০ শতক জমি কিনে নানজারি সৃজন হয়েছে মাত্র ১০ শতক। এই প্রতিপক্ষ দখলে রেখে বরং আমাদের প্রাপ্য হিস্যা থেকে বন্ঞিত রেখেছে।
এ ছাড়া তাদের অন্যান্য ওয়ারিশগণ থেকেও আমাদের বায়না রয়েছে। রেকর্ড সংশোধন মামলা শেষ হলে এলমুন্নাহারের অবৈধ দখলে থাকা আরো জমি আমাদের ফেরত দিতে হবে। ”

Comment here