এক্সক্লুসিভজাতীয়টেকনাফসারাদেশ

যুগ্নসচিবের টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন ও ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠক : ১৪শ মেট্রিকটন পেয়াঁজ আমদানী

টেকনাফ ভিশন ডেস্ক:
বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেছে। এতে সম্প্রতি পেঁয়াজের বাজার দর উর্ধ্বমুখী হওয়ায় দেশীয় চাহিদা মেটানোর জন্য শুল্কমুক্ত পেয়াঁজ আমদানীতে উৎসাহিত করা হয়েছে। এদিকে গত ২দিনে এই বন্দর দিয়ে ১৪শ মেট্রিকটন পেয়াঁজ আমদানী করা হয়েছে।
জানা যায়, ২অক্টোবর (বুধবার) বিকাল সাড়ে ৪টারদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের (বস্ত্রসেল) যুগ্মসচিব তৌফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। তিনি বন্দরের সমস্যা ও সম্ভাবনা ঘুরে-ফিরে দেখেন। এরপর জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে একান্ত বৈঠকে বসেন। উক্ত বৈঠকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদুর রহমান মোল্লা, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হাসান, কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসেম,যদু চন্দ্র দাস, মোঃ সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত বৈঠকে যুগ্মসচিব তৌফিকুর রহমান বলেন, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে যেসব ব্যবসায়ী কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাই ব্যবসায়ীদের বেশী লাভের আশা না করেই পেঁয়াজের সংকট দূর করতে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এই ব্যাপারে সরকার ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সহায়তা করবে। কাল হতে এই স্থলবন্দর দিয়েই শুল্কমুক্ত পেয়াঁজ আমদানীর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান,টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ভর্তি ৩৭টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন স্থানে রওয়ানা দিয়েছে। আরো পেয়াঁজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
আমদানীকারক মোহাম্মদ হাশেম জানান, সকালে পেঁয়াজ বুকিং দিতে ওপারে যোগাযোগ করা হলে পূর্বের ক্রয়মূল্যের চেয়ে প্রতি টন পেয়াঁজে ৩শ ডলার করে বেশী মূল্য দাবী করছে।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান জানান, গত ২দিনে মিয়ানমার হতে ১৪শ মেট্রিক টন পেয়াঁজের চালান খালাস করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আন্তরিক হলে আরো বেশী পেয়াঁজের চালান খালাস হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
যাই হোক, আপাতত সরকারের মিয়ানমার হতে শুল্কমুক্ত পেয়াঁজ আমদানীর সিদ্ধান্তের ফলে চাহিদা মতো পেয়াঁজ আসবে বলে সচেতনমহল আশাবাদ করছেন। ##

Comment here