কক্সবাজাররোহিঙ্গা সমাচার

রোহিঙ্গাদের বাঁধভাঙা ঢল : সম্প্রীতির অনন্য নজির বিপর্যয়েরও আশঙ্কা

 

তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার ও জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ

সম্প্রীতির অনন্য নজির বিপর্যয়েরও আশঙ্কা

সত্তরোর্ধ্ব রোহিঙ্গা নারী সারা খাতুনকে তাঁর দুই নাতি এভাবেই কাঁধে করে বয়ে এনেছে। আট দিন বিরামহীন দুর্গম পাহাড়ি পথে চলার পর বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছান এ নিপীড়িত নারী।

হেঁটে স্রোতের মতো আসছে রোহিঙ্গারা। কেউ স্বজনের কাঁধে চড়ে আসছে। কেউ আসছে মা-বাবার কোলে চড়ে। বাঁশে ঝুলে দুই নাতির কাঁধে চড়ে আট দিন দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন ৭০ বছর বয়সী এমন একজন বৃদ্ধার দেখা মিলেছে নাইক্ষ্যংছড়ির রেজু সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায়। মিয়ানমারের রাখাইন থেকে গুলি ও বোমার জখম নিয়ে আসা আরো পাঁচ রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রবিবার ভর্তি করা হয়েছে। এরই মধ্যে জামায়াত নেতাসহ স্বার্থান্বেষী মহল রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা শুরু করেছে। আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে আঞ্চলিক পরিবেশ বিপর্যয়েরও।

বিভিন্ন সূত্র মতে, ঈদের পরের দিন রবিবার সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটে। কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের স্থলভাগ ও নাফ নদ পেরিয়ে তারা আসছে। গতকাল সোমবারও কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে স্রোতের গতি কমেনি। দক্ষিণ বন বিভাগে গড়ে ওঠা চারটি রোহিঙ্গা শিবিরে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

সীমান্তরক্ষী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বারবার চেষ্টা করেও স্রোত ঠেকিয়ে রাখতে পারছেন না। হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এভাবে আরো চলতে থাকলে অনেকে মানবিক বির্পযয়ের আশঙ্কা করছে, আগে থেকে পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার অতিরিক্ত ভারে জর্জরিত কক্সবাজার জেলায়।গত কয়েক দিন ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে-সেখানে রোহিঙ্গা। দুই দিন ধরে টেম্পো, অটোরিকশা বা বাসে রোহিঙ্গাদের চাপের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবহন সমস্যায় পড়েছে। বান্দরবানের চাকঢালা, আশারতলী, জলপাইতলী, ঘুনধুম, উখিয়ার রহমতের বিল, পালংখালী, টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের উলুবুনিয়া, কাঞ্জরপাড়া, লম্বাবিল, উনছিপ্রাং এবং শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ঢুকেছে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এমনই আশঙ্কা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। হোয়াইক্যং আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক হারুন রশিদ সিকদার বলেন, আন্তর্জাতিক হিসাবের চেয়েও বেশি রোহিঙ্গা গত কয়েক দিনে ঢুকেছে। ক্যাম্পে প্রবেশের অপেক্ষায় তারা। অনেকে পাহাড় কেটে নতুন নতুন ঘর তৈরি করে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে। কেউ আবার আগে থেকে আসা আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে অবস্থান করছে। কুতুপালং এলাকায় আট বর্গ ফুট পাহাড়ি জমি বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে চার হাজার টাকায়। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব সরকারি জমি বিক্রি করছে।

টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেছেন, টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে পিঁপড়ার মতো রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটছে। বিশেষ করে এরা নাফ নদ অংশ হয়ে পশ্চিম দিকের বঙ্গোপসাগর দিয়ে দিক পরিবর্তন করে নৌকা দিয়ে ঢুকে পড়ছে।

টেকনাফে জামায়াত নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারীর মাধ্যমে নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার কাজ শুরুর কথা জানা যায়। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রক্ষ্যং ও কাঞ্জরপাড়াতে এরই মধ্যে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নতুন তৈরি করা ওই ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছে। জামায়াত নেতা নেপথ্যে থেকে সামনে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন রাখছেন বলেও অভিযোগ স্থানীয় জনসাধারণের। একই ইউনিয়নের রক্ষ্যং পাহাড়ি এলাকায় আরো একটি ক্যাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন সাবেক জামায়াত নেতা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল বাসেত। তিনি দাবি করেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও  প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। গত দুই দিনে ওই দুটি নতুন স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানাচ্ছে। এই রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপনের খবর শুনেছেন উল্লেখ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মিয়ানমারের আরাকান বা রাখাইনে এখনো জ্বলছে গ্রামের পর গ্রাম। গতকাল সীমান্তের ৫০ মিটার দূরে মিয়ানমারের তাউং পায়ো গ্রামের কাছে বিস্ফোরণে এক নারীর পা উড়ে যায়। পাতা মাইনেই বিস্ফোরণ কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।   জানা যায়, গত রবিবার রাতেও ২০টি গ্রামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সেনারা। বাংলাদেশ সীমান্তের ঘুনধুমের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছুড়েছে তারা। এর আগেও আরেকবার গুলি এসে পড়েছিল বাংলাদেশের লোকালয়ে। কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি কমান্ডার লে. কর্নেল মনজুরুল হাসান খান বলেন, স্থানীয়রা একটি গুলির খোসা জমা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

মুসলমানদের পাশাপাশি আসছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরাও। সেনাবাহিনীর গুলিতে মিয়ানমারের মংডু ফকিরাবাজার এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ৮৬ জন সদস্যের প্রাণ হারানোর খবর এসেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ৫০০ হিন্দু। তারা উখিয়া কুতুপালং হরি মন্দিরসংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত মুরগির খামারে আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নেতারাসহ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও সরেজমিন গিয়ে তাদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত গত রবিবার এসব রোহিঙ্গা হিন্দু পরিবারের সদস্যের সঙ্গে দেখা করেছেন। জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রণজিত দাস বলেন, তিনি কথা বলে জেনেছেন, মিয়ানমারে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপরও চলছে চরম নির্যাতন।

মিয়ানমারের ওপারে সাম্প্রদায়িকতার আগুনে যখন মানবতা জ্বলছে, এপারে দেখা যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চিরায়ত নজির। টেকনাফের পৌর এলাকার চৌধুরীপাড়া, হ্নীলা, খারাংখালী এলাকায় নাফ নদের কূল ঘেঁষে বসবাস করছে শত শত রাখাইন পরিবার। মুসলিম, হিন্দু, বড়ুয়া এবং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থানও এখানে। গত শনি ও রবিবার পর্যন্ত হ্নীলা চৌধুরীপাড়ার বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিল কয়েক শত রোহিঙ্গা মুসলিম পরিবার।

এদিকে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের দাবিতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যংয়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে এ মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও। মানববন্ধন শেষে টেকনাফ উপজেলা চাকমা সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা ও শিক্ষক খোকন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন হোয়াইক্যং আলহাজ আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল চৌধুরী মুসা, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির টেকনাফ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার বেদাজ্ঞ, আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর চৌধুরী, আবু তাহের, আদিবাসী নেতা মণি স্বপন চাকমা ও আলো চাকমা প্রমুখ। মানববন্ধনে হিন্দু, বৌদ্ধ, চাকমা ও মুসলিমসহ হাজারো মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে রোহিঙ্গাদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন খোকন বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মংসাইহ্লাই ও ডাক্তার সুরেশ নাথ।

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ঘুনধুম, উখিয়া, খারাংখালী, হ্নীলা, চৌধুরীপাড়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের অবস্থানস্থল এবং রাখাইন পল্লীগুলো পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন ও পুলিশ সুপার ড. কে এম ইকবাল হোসেন। রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সম্প্রীতি বৈঠক করেছেন প্রশাসনের ওই দুই কর্মকর্তা। এতে সকল সম্প্রদায়ের লোকজন, রাজনৈতিক প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতে অনুপ্রবেশ বন্ধে যে কড়াকড়ি ছিল তা আর নেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় টেকনাফ পৌর এলাকার ফরিদ মার্কেটে দেখা মেলে এক রোহিঙ্গা পরিবারের। মিয়ানমারের মংডু হাইসসুরাতা গ্রামের শামসুল আলম, সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী সাবেকুন্নাহার। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে দুই বছরের একমাত্র কন্যাসন্তান সুহামনি। নিজ এলাকার তথ্য দিয়ে শামসুল আলম বলেন, প্রতি গ্রামে আল-একিন নামে একটি গোষ্ঠীর ১৫ জন করে সদস্য রয়েছে। তারা দা-লাঠি দিয়ে মিয়ানমারের প্রশিক্ষিত বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছে। ফলে সেনাদের গুলিতে সাধারণ রোহিঙ্গারা মরছে। ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। স্ত্রীর কানের গহনা বিক্রি করে তাঁরা এপারে এসেছেন বলে শামসুল জানান। তাঁর লক্ষ্য নয়াপাড়া ক্যাম্পে যাওয়া।

২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৫৬ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগর উপকূল থেকে। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম বলেন, রোহিঙ্গার মৃতদেহ শুধু নয়, ভাসছে অসংখ্য গবাদি পশুও। সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন বলেন, শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে কিছু দালাল শ্রেণির লোকজন নৌকা পাঠিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহায়তা করেছে। তাদের কারণেই নৌকাডুবিতে মারা গেছে অনেক রোহিঙ্গা। ইতিমধ্যে প্রশাসন বেশ কিছু দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়েছে। এলাকাবাসী কিছু নৌকাও পুড়িয়ে দিয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি-কোস্ট গার্ড বেশ তৎপর থাকার পরও বিভিন্নভাবে শত শত রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ছে।

এদিকে সেন্ট মার্টিনসে আটক দুই হাজার ১০৬ জন রোহিঙ্গা দ্বীপ ছেড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন, এই রোহিঙ্গারা রবিবার মধ্যরাতে সেন্ট মার্টিনস থেকে স্ব-উদ্যোগে মিয়ানমারে ফিরে গেছে। এই রোহিঙ্গাদের সেন্ট মার্টিনসের বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো করে রবিবার মানবিক সহায়তা দেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। কোস্ট গার্ড সেন্ট মার্টিনস স্টেশন কমান্ডার লে. আশরাফুল ইসলাম জানান, এই রোহিঙ্গারা স্ব-উদ্যোগে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। তারা রবিবার মধ্যরাতে কয়েকটি ট্রলারযোগে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া উপকূলে পৌঁছে গেছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করে।

এ ছাড়া শাহপরীর দ্বীপ এলাকা থেকে রবিবার রাতে ৯টি নৌকাসহ আটক করা হয় ১৬০ রোহিঙ্গাকে। তাদের বিজিবি হেফাজতে রেখে মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। খবরটি নিশ্চিত করে কোস্ট গার্ড শাহপরীর দ্বীপ স্টেশন কমান্ডার লে. ফয়সাল জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে উখিয়া থানা ভবনের নিচে কাঁদছিলেন লাইলী বেগম নামের এক রোহিঙ্গা। ছয় সন্তান আর নিজের গৃহপালিত ৯টি গরু নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি গত মঙ্গলবার। লাইলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উখিয়ায় তিন ব্যক্তি আমার গরুগুলো কেড়ে নিয়েছে। ’ উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এসব ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শাকিল নামের এক যুবলীগ নেতাকে আটকও করা হয়েছে। ’ তিনি জানান, এর আগে আটজন দালালকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মিয়ানমারের রাজারবিল এলাকা থেকে রওনা দিয়ে রবিবার দুপুরে এসে পৌঁছান বৃদ্ধা সারা খাতুন। দুই নাতি বাঁশে ঝুলিয়ে তাঁকে আট দিন বহন করেছেন। সারা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বর্মার মিলিট্টারি আঁরারে গুলি গরি মারি ফেলার। ঘর পোড়া দের। অত্যাচার সইত ন পারিয়েরে আই যাইগ্গইর এদেশত। ’ তিনি জানান, আসার সময় কিছু চাল সঙ্গে নিয়েছিলেন তারা। পথে রান্না করে খেয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন।

Comment here