আন্তর্জাতিককক্সবাজাররোহিঙ্গা সমাচার

রোহিঙ্গাদের হাতিয়ায় স্থানান্তর করা হবে: শাহরিয়ার আলম

বিশেষ প্রতিবেদক :

রোহিঙ্গাদের হাতিয়ায় স্থানান্তর করা হবে: শাহরিয়ার আলম

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ঠ্যাঙ্গার চরে স্থানান্তর করা হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, ‌‘মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যার্বাসনের আগে পর্যায়ক্রমে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ঠ্যাঙ্গার চরে স্থানান্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঠ্যাঙ্গার চরকে বসবাস উপযোগী করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে তাদেরকে স্থানান্তরের এই প্রক্রিয়া শুরু হতে কিছু দিন সময় লাগবে।’

বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আবারও পরিষ্কার করে বলতে চাই  রোহিঙ্গারা এখানে অস্থায়ী ভিত্তিতেই থাকবেন। আমরা অবশ্যই চাইবো যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদেরকে মিয়ানমার সরকার ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। তবে যতক্ষণ তারা এখানে থাকছেন সেই সময় যেন আমরা তাদেরকে যাথাযথ মানবিক সেবাগুলি দেব। এখানো অন্য কোনো কনফিউশনের সুযোগ নেই। আমরা অবশ্যই প্রত্যাশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিয়ানমার সরকার তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারে যে জায়গা করা হয়েছে সেখানে তিন লক্ষের বেশি মানুষ থাকছেন। এতে কক্সবাজারের উখিয়ায় আশপাশের অঞ্চলের একটা পরিবেশ বিপর্যয় হয়েছে। তাদের তিন জনের জন্য যে ঘর করা হয়েছে সেখানে ১০ থেকে ১২ জন করে থাকছেন। তাদের চিকিৎসা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা অনেকটা বাঙালিদের সাথে মিশে গেছে।  তাদেকে চিহ্নিত করার একটি নির্দেশনাও এসেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে কমিটি করে দেয়া হয়েছে তাদেরকে সুনির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করার জন্য। আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা প্রত্যাশা করছি এই ডাটাবেজটি প্রস্তুত হয়ে যাবে। ডাটাবেজটি হয়ে গেলে আমাদের মিয়ানমার সরকারের সাথে কথা বলেতে সুবিধা হবে। আমরা যখন সহযোগিতার জন্য অন্য কোন দেশের সাথে বা কোন সংস্থার সাথে কথা বলবো তাদের সাথে কথা বলতে সুবিধা হবে। আবার তাদের জন্য আমরা যদি কোন বিনিয়োগ করত চাই সেই ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।’

Comment here