টেকনাফপবিবেশ

সন্ত্রাসী বাহিনীর নাশকতা! টেকনাফের গেইম রির্জাভ ফরেষ্টে ১৬ স্থানে আগুন

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী , টেকনাফ :
টেকনাফের গেইম রির্জাভ ফরেষ্টের অন্তত ১৬ টি স্থানে আগুনে পুড়েছে। গত সোমবার হতে টেকনাফ পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ড এলাকার নাইট্যং পাহাড়ের জাদি মোড়া নামক স্থানে আগুনের শিখা দেখতে পায় স্থানীয়রা। ওই দিন প্রথম দফায় পার্শ্ববর্তী ভিলেজাররা আগুন নেভানার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পাহাড়ে অবস্থানকারী একদল সন্ত্রাসী তাদের বাধা প্রদান কওে বলে জানা যায়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে পাহাড়ের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়েঁ অন্তত ১৬ টি স্পটে আগুনে জ¦লতে থাকে পাহাড়ের গাছপালা। খবর পেয়ে বন বিভাগ , দমকল বাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় বন বিভাগের লোকজন ছাড়া অন্যরা মূল স্পটে পৌছঁতে পারেনি। এ ঘটনায় বন বিভাগের প্রায় ৮ থেকে ১০ হেক্টর বন পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেলেও কেউ হতাহত হয়নি। বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বন বিভাগের লোকজন যখন মঙ্গলবার বিকালে আগুন নেভাতে যায় তখন পাহাড়ের ভেতর হতে বাশিঁ বাজিঁয়ে উল্টা ধমক দেওয়ার চেষ্ঠা কওে একদল সন্ত্রাসী। পরে বন বিভাগের লোক পরিচয় পেয়ে তারা সটকে পড়ে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে টেকনাফের পৌরসভার নাইট্যংপাড়া এলাকার উপকূলীয় বন অফিসে কথা হয় বন রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমদের সাথে। তিনি বলেন, টেকনাফের এ বনে এর আগেও কয়েক দফায় আগুনে জ্বলার ইতিহাস রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রæফ এখানে অবস্থান করছে। তারা আধিপত্য বিস্তার করার জন্য এ ধরনের নাশকতা পরিচালনা করে থাকতে পার্।ে তিনি এখন আগুন প্রায় ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে দাবী করে বলেন, বনের একটি টিলায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উর্দ্ধত্বন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা কওে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আগুনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পায়ে হেঁটে পাহাড় পেরিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে একটু সময় লাগছে। ফায়ার সার্ভিসের দু’টি গাড়ি ওই এলাকায় পৌঁছালেও দুর্গম পাহাড়ে উঠতে না পারায় আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। এখনো জ¦লছে।
টেকনাফ স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ বলেন, পাহাড়ে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তারা আগুন নেভাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও পাহাড়ের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। রাত ৯ টায় পযর্ন্ত কয়েকটি স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে অন্যন্য জায়গায় আগুন জ¦লছে। বাকি কয়েকটি পয়েন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা ও তা আশপাশের জনবসতিতে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে চেষ্টাই করা হচ্ছে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কারা আগুন দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হঠাৎ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় লোকালয়ের কিছু অঞ্চল ঝুঁকিতে ছিল। এখনও পাহাড়ে আগুন জ্বলছে এবং তা নেভানোর চেষ্টা চলছে।

Comment here