ক্রাইমটেকনাফ

হত্যা মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি ও মামলায় জড়িয়ে হয়রানি!


টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে আলোচিত মোস্তাফিজ হত্যা মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করার ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে মামলার বাদী জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে দাবি করেছেন।
মামলার এজাহার ও সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি শামলাপুর পুরান পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ কালুর পুত্র। শীলখালী গ্রামের মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র আবু বক্কর, মৃত আক্কেল আলীর পুত্র আবুল বশর, প্রবাসী সেলিম উল্লাহর পুত্র ফয়সালসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। ঘটনার পর মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই মোহাম্মদ নুরুন্নবী বোদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০১/১৬। হত্যার মূল আসামীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
মামলার বাদী মোহাম্মদ নুরুন্নবীকে প্রতিনিয়ত হত্যা, এলাকা ছাড়া ও বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে। মামলা আপোষ দিতে চাপপ্রয়োগ করছে। অন্যথায় ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান মামলার বাদী নুরুন্নবী।
এদিকে অব্যাহত হুমকি ও হয়রানির প্রেক্ষিতে বাদীকে নুরুন্নবী গত বছরের শুরুর দিকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে টেকনাফে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
নুরুন্নবী অভিযোগ করেন, মামলার আসামীরা প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করছে। এছাড়া মামলার তিন নম্বর আসামী সৈয়দ করিম কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় বাদীকে হুমকি দিচ্ছে। ইতোমধ্যে তাকে দুটি নারী নির্যাতন, একটি বন মামলা ও অপর একটি মারামারির মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে মামলার ২নং আসামী আবুল বশর অর্থের দাপট দেখিয়ে শীলখালী এলাকার নাজমা আকতার নামে এক মহিলাকে দিয়ে নারী নির্যাতন মামলা সাজানোর পাঁয়তারা করার অভিযোগও করেন তিনি।
এদিকে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ডজন মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকটি মামলার ওয়ারেন্টভ্ক্তু আসামীও তারা। এছাড়া আসামী ফয়সালের বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচার ও প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ মানুষের জমি দখল সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে অব্যাহত হুমকির কারণে বাদীর স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে নুরুন্নবী বলেন, আসামীদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকিতে আমি দিশেহারা হয়ে গেছি। আমি প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলে আমার পরিবারসহ সকলের সার্বিক নিরাপত্তা দাবি করছি।

Comment here