কক্সবাজাররোহিঙ্গা সমাচার

রোহিঙ্গাদের মধ্যে মালয়েশিয়ার ত্রাণ বিতরণ সম্পন্ন


টেকনাফ ভিশন ডটকম :
মিয়ানমার থেকে স¤প্রতি পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়া থেকে পাঠানো ত্রাণ বিতরণ শেষ হয়েছে ১৫ মার্চ বুধবার। উখিয়া ও টেকনাফের চারটি স্পটে মালয়েশিয়া প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম শুরু এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, ডাল, কফি, চিনি, খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল, কম্বল ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ প্রায় ৩৫ প্রকার পণ্য।
ত্রাণ বিতরণে নিয়োজিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কো-অডিনেটর (এমআরআরও) সেলিম আহমদ বলেন, ইতিমধ্যে উখিয়া এবং টেকনাফ শরনার্থী ক্যাম্পে অবস্থানকারী নতুন (অনিবন্ধিত) ১৫ হাজার ৭৬৭টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। ১৫ মার্চ বুধবার কুতুপালংয়ে ১৮১২পরিবারকে ত্রাণ দেওয়ার মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ান ত্রাণ বিতরনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
জেলা ত্রাণ বিতরণ সমন্বয় কমিটির প্রধান ও কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইটিসি ও শ্ক্ষিা) সাইফুল ইসলাম জানান, টেকনাফের সাড়ে ৫ হাজার ও উখিয়ার সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে মালয়েশিয়ান ত্রান বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, বালুখালীতে অন্তত শতাধিক পরিবার ত্রাণ পায়নি। তারা অভিযোগ করে বলেন, ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ একটি স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ২০০/৩০০টাকা নিয়ে ফুড কার্ড দিয়েছে। যারা ওই দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগ এ সমস্ত অসহায় রোহিঙ্গা পরিবার ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়। তারা আরো বলেন, বিষয়টি ত্রাণ বিতরণকারী রেড ক্রিসেন্টের কর্তাব্যক্তিদের অবহিত করা হলে তারা পরবর্তীতে দেখবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত পুলিশের ৯ সদস্য নিহত হয়। ওই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে আসছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর থেকে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

Comment here