ক্রাইম

ক্যাম্পে সংগঠিত স্বশস্ত্র রোহিঙ্গারা

টেকনাফ প্রতিনিধি :
বাংলাদেশে গড়ে উঠা রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গারা সংগঠিত হচ্ছে। এরা পাহাড়ী এলাকায় গড়ে তুলেছে একাধিক আস্তানা। সেখানে পরিচালিত হচ্ছে স্বশস্ত্র প্রশিক্ষণও এমন তথ্য রয়েছে ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে। তবে প্রাণভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। রাতের বেলায় আইনশৃংখলা বাহিনী ক্যাম্পের প্রধান সড়ক গুলোতে তৎপর হলেও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অভ্যান্তরিন সড়ক গুলোতে অবস্থান নেন। ফলে বড় ধরনের চিহ্নিত কেউ জালে ধরা পড়ছেনা। যার ফলে ক্যাম্প গুলোতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দারুন আধিপত্য বিরাজ করছে। এসব স্বশস্ত্র গ্রæপকে কোথাও আরসা, কোথাও আল-অ্যাকিন নামে ডাকা হয়। তবে স্থানীয় ক্যাম্পে সাধারণ লোকজন গ্রুপ লিডারের নামেই এদের পরিচয় বহন করায় মনে হবে ছোট ছিনতাইকারী বা ডাকাত দল। আসলে কিন্তু এদের রূপ ভিন্ন। রাতের বেলায় এদের মুভমেন্ট দেখলেই বুঝা যাকে এরা কত সুসংগঠিত ও প্রশিক্ষিত।
খোজঁ নিয়ে যানা যায়, শিবিরের প্রতিটি বøকে রাত্রিকালিন পাহারাও চালু করেছে এরা। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর প্রথম দিকে আরসা নেতা ও সদস্যরা আত্বগোপনে ছিলো। আবার কেউ কেউ স্থান পরিবর্তন করে ক্যাম্পেও অবস্থান নিয়েছিলো। স ম্প্রতি কয়েক মাসের মধ্যে ক্যাম্পের প্রতিটিন বøকে মিয়ানমারের মত গঠন করা হয়েছে কমিটি। ধর্ম প্রচারের নামেও এরা এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদে অবস্থান নিয়ে থাকে। ওখানে বসেই প্রয়োজনীয় শলাপরার্মশ করে থাকে এরা। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সংঘবদ্ধ ছিলো। সেখান থেকে পালিয়ে আসার পর গ্রথম দিকে কৌশলী আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে পরে এরা আস্থে আস্থে শিবিরে আধিপত্য গ্রহন করে। ক্যাম্পের হেড মাঝি, বøক মাঝি ও সাব-মাঝি গুলোর ৯০ ভাগই আরসা সমর্থক বা সদস্য। তবে মিয়ানমারের প্রতি গ্রামের গ্রæপ নেতা গুলো এখানে দায়িত্ব না নিয়ে আড়ালে থেকে কনকাঠি নাছড়ে। তবে ক্যাম্পের বিচার সালিস থেকে পান থেকে চুন খসে পড়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রন করছে এরা। ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কুতুপালং ক্যাম্পে গড়ে তোলা হয়েছে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস এন্ড হিউম্যানরাইট্স (এআরএসপিএইচ) নামের সংগঠন। মুহিব উল্লাহ হচ্ছে এ সংগঠনেস্টপ্রধান। ইতিমধ্যে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট’র সাথে সেখানে গিয়ে কথা বলে এসছেন। পরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ‘ভয়েস অব রোহিঙ্গা’ আরো একটি সংগঠন গড়ে উঠেছে। প্রথম দিকে এটির সভাপতি হিসেবে রোহিঙ্গা নেতা মো: শামসু দায়িত্বে থাকলেও বর্তমানে মো: রিদোয়ান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এ দুটি সংগঠনের নেতৃত্বে এখানে সব রোহিঙ্গারা ঐক্যবদ্ধ। ত্রাণ ও শরনার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো: আবুল কালাম জানিয়েছেন, ক্যাম্পে যাতে আইনশৃংখলা ঠিক থাকে সে জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্প ভিত্তিক মোটিভেশন ওর্যাকও চলছে। যাতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরাধী তৈরী না হতে পারে।
২৫ আগস্ট ২য় গণহত্যা দিবস পালন করবে রোহিঙ্গারা
২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা ঘাটির উপর স্বশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা রোহিঙ্গাদের স্বশস্ত্র সংগঠন আরসা বা আল অ্যাকিন সদস্যরা হামলা চালিয়েছে এ অভিযোগে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সরকারী বাহিনী। এসময় রোহিঙ্গাদের উপর সেনা সদস্যরা সেখানে গণধর্ষন , গণহত্যার মতো মানবতা বিরুধী অপরাধ শুরু কওে এমন অভিযোগে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে উখিয়া টেকনাফের ৩২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। যার মধ্যে ইতমধ্যে প্রায় ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বায়োম্যাট্রিক নিবন্ধনের আওতায় এসেছে বলে জাতিসংঘ শরনার্থী সংস্থা এক কিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ২৫ আগস্টকে রোহিঙ্গারা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে গত বছর থেকে। এ বছরও এ দুটি সংগঠন ক্যাম্পে র‌্যালী ও জমায়েত করার কর্মসুচী গ্রহন করেছে। এআরএসপিএইচ সদস্য হাফেজ ছৈয়দ উল্লাহ জানিয়েছেছেন উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের ডি-ফোর মাঠে সকাল ১০ টা -১২ টা পর্যন্ত অবস্থান নেবে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা নারী পুরুল। তারা এই সময় গত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনা বাহিনীর অত্যাচার ও গণহত্যার চিত্র তুলে ধরে দিবসটি পালন করবেন। ভয়েস অব রোহিঙ্গা ষবাপতি মো: রিদোয়ান জানিয়েছেন তারা উখিয়া টেকনাফের ৯ টি ষ্পটে সকাল ৮ টা হতে জড়ো হয়ে ২য় গণহত্যা স্বরণ দিবস হিসেবে এটি পালন করবে।
দিনে এনজিও রাতে সশস্ত্র গ্রæপের দখলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প!
বাংলাদেশে গড়ে উঠা রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ গুলো বেশির ভাগই ইয়াবা পাচারে জড়িত । নদী বা পাহাড়ি পথ হতে মিয়ানমার হতে আনা ইয়াবা গুলো এরা পাহাড়ে তাদের আস্তানায় নিয়ে নিরাপদে যথাযথ পাচারকারীর কাছে পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে এমন খবর পাওয়া গেছে এলাকার সাধারণ রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে। নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক সাধারণ রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, পাহাড়ে গড়ে উঠা এসব অস্ত্রধারি রোহিঙ্গারা কমিশন ভিত্তিতে ইয়াবা পাচারে জড়িত হয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছে। এসব টাকায় কিনছে অস্ত্রও। এরা চুরি , ডাকাতি, চাদাঁবাজি, অপহরন , খুনসহ নানা অপরাধে জড়িত হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একাধিক এ ধরনের গ্রুপ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। কেউ এদের বিরোদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না। এমনকি অনেক সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর খুব কাছাকাছি থাকলেও এদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন দেখা যায় না। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মুখ খোলার লোকজন গুলোও চুপসে যায়।
আবদুল হাকিম গ্রæপ : এ ধরনের গ্রæপ গুলোর মধ্যে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের পশ্চিমের পাহাড়ে ৩০/৪০ জনের নেতৃত্বে রয়েছে দূর্ধষ ডাকাত সর্দার আব্দুল হাকিম। মিয়ানমারের মংডু বড় ছড়া এলাকার জানে আলমের ছেলে হাকিম। সে নিজেকে আল-অ্যাকিন-২ এর প্রধান বলেও ঘোষনা দিয়েছে। এ গ্রপটির মধ্যে বিদেশি পিস্তল, ভারী অস্ত্র, দেশিয় কাটা রাইফেল, ওয়াকিটকি জাতয়ি প্রযুক্তি রয়েছে। এ গ্রæপটির মধ্যে টেকনাফের শামলাপুর, উখিয়ার কুতুপালং, বালূখালী, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, মিয়ানমার পর্যন্ত শক্ত অবস্থান রয়েছে। তাদের হাতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ইউনিয়ন সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামসহ ১৫/২০ জন মানুষ খুন হয়েছে। আব্দুল হাকিমের ভাই নজির আহমদ, কবির আহমদসহ বেশ কজন সহযোগি ইতিমধ্যে বন্দুক যুদ্ধে পুলিশের হাতে নিহত হয়েছে । এ প্রæপের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে , কালাবদা মাঝি, কুতুপালং ডি-৩ ’র ঢালু মাঝি, ই-৩’র কামাল মাঝি, নয়া পাড়া ক্যাম্পের রশিদুল্লাহ, হারুন ও রফিক, লেদা অনিবন্ধিত ক্যাম্পের কালু ও শফিউল্লাহ।
কুতুপালং’র ওসমান গ্রæপ : আরসা সামরিক প্রধান হাফেজ আতাউল্লাহর ভ্য়ারা ভাই হিসেবে পরিচিত ওসমান এ বাহিনীর প্রধান। উখিয়ার কুতাুপালং ও বালুখালী ভিত্তিক এ গ্রæপ’র সদস্য সংখ্যা ২৫/৩০ জন। কুতুপালং এফ বøকের ফরিদ আলমের ছেলে ওসমান একটি ঔষধের দোকান পরিচালনা করে কৌশলে দায়িত্ব পালন করে থাকে। কুতুপালং বাজারে দোকান নির্মান বা ব্যবসা করতে হলেই এ গ্রæপটি অনুমতি লাগে। টাকা ছাড়া সেই অনুমতি পাওয়া যায়। না হয় দোকান করা যাবে না। এদের হাতে বিদেশী পিস্তল ও দেশয়ি তৈরী অস্ত্র রয়েছে। এ গ্রæপের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে, বশর মিয়া, রফিক , হোন আহমদ , খাইরুল আমিন। ওসমানের চাচা শ্বশুড় আবু মুসা সম্পতি মিয়ানমার হতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে বর্তমানে কুতুপালং এ চিকিৎসাধীন বলেও জানা গেছে।
বালূখালীর ইউনুছ প্রæপ : উখিয়ার বালূখালী কেন্দ্রিক এ প্রæপের প্রধান গত ২৭ অক্টোবর আটক হয়ে জেলে রয়েছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে কাজ করছে বালূখালী আহমদ রহমানের পাহাড় নামের মোস্তাক আহমদের ছেলে নবী হোসেন। নবী হোসেনের ভাই ভুলু ওরফে ভুইল্লা অস্ত্র প্রশিক্ষক হিসেবে প্ররিচিত। এ গ্রæপের অপর সদস্য জাবের সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে থাকে কারাগারে আটক থাকা গ্রæপ প্রধান ইউনুছের সাথে ভারপ্রাপ্ত দলনেদতা নবী হোসেনের মধ্যে। বালূখালী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ের মাঠে এদের দুটি প্রশিক্ষন কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে রাত হতে ভোর পর্যন্ত কৌশলে বিভিন্ন প্রশিক্ষনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। তাদের অপর সহযোগী আইয়ুব হত্যা মামলা আসামী নুর কামালকে জেল হতে মুক্ত করে এদের শক্তি বাড়িয়েছে প্রæপটি। এ প্রæপটির হাতে ভারি অস্ত্র রয়েছে বলে জানা গেছে।
শালবাগান ক্যাম্পে নুর মোহাম্মদ গ্রæপ : আরসা সামরিক প্রধান হাফেজ আতাউল্লাহ’র ডান হাত হিসেবে পরিচিত নুর আলম অবস্থান করতেন টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পে। নয়া পাড়াতে দু’স্ত্রী ও লেদা অনিবন্ধিত ক্যাম্পে অপর স্ত্রী অবস্থান করায় নুর আলম দু’ ক্যম্পে সমান আধিপত্য রাখতেন। এ ছাড়া আরসা প্রধান হাফেজ আতাউল্লাহ’র সাথে ভিডিও তে নুর আলমকে ভারী অস্ত্র হাতে ডান পার্শ্বে দেখা যাওয়ায় তাকে সবাই সমিহ করে চলতো। এ ছাড়া র‌্যাব-৭ এর হাতে আটক হয়ে নয়া পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার, পরে জামিনে মুক্ত হওয়ায় তার শক্ত অবস্থান তৈরী হয়েছে আরসা ও রোহিঙ্গাাদের মাঝে। ২০/২৫ জনের এ প্রæপের অপর কয়েকজন উপ-প্রধান হচ্ছেন জাদিমুড়ার নুর মোহাম্মদ, মুছনী নয়াপাড়ার লম্বা সেলিম, মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ, খাইয়ুর আমিন। এ প্রæপটি ২০১৬ সালের ১৩ মে ভোররাতে নয়াপাড়া শালবন আনসার ব্যারকে হামলা চালায়। খুন করে আনসার কমান্ডার আলী হোসেন কে। লুট করে নিয়ে যায়, ২টি এসএমজি, ৫ টি চায়না রাইফেল, ৪ টে শর্টগান ও ৬৭০ টি গুলি। পরে অবশ্য অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার কওে র‌্যাব-৭। এ গ্রæপের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে নুরুল আলম, হাসেম, হাসান, জামাল, রুবেল, মাহামুদুল হাসান ও শুক্কুর। এ প্রæপের প্রধান নুর আলম গত জানূযারী মাসের প্রথম দিকে জেল হতে বের হয়। পুনরায় সংগঠিত হয়ে লেদা ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে আলীখালী পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে অপর্কম চালায়। সম্প্রতি আলোচিত সেই নুরুল আলম বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এখন তার সেকেন্ড ইন কমান্ড লম্বা সলিম দায়িত্ব পাণ করছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে লম্বা সলিমৈর নেতৃত্বে একদল রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী টেকনাফের লেদা ওযার্ড যুবলীগ সভাপতি উমর ফারুককে হত্যা করে। এদের হাতে ভারী অন্ত্রসহ বিদেশী পিস্তল রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া নয়া পাড়া ভিত্তিক জহির গ্রæপ, রহিমুল্লাহ গ্রæপ ও রাজ্জাক গ্রæপ সক্রিয় রয়েছে।
লেদা’র রফিক, ছাদেক বেলাল গ্রæপ : টেকনাফের লেদা কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি গ্রæপ কাজ করছে। এরমধ্যে রফিক গ্রæপের সাথে রয়েছে রহিমুল্লাহ, রফিক, শফিউল্লাহ। ছাদেক গ্রæপের সাথে রয়েছে কাসেম, সেলিম। দক্ষিন লেদায় রয়েছে বেলাল গ্রæপের অবস্থান। এ প্রæপের অপর সদস্যরা হচ্ছে , রাসেল, সোনা মিয়া, হেলাল, নুরুল ইসলাম, জয়নাল, কামাল, জামাল হোসেন।
নতুন রোহিঙ্গা এবং ২০১৯ সালের রোহিঙ্গারা একাকার হয়ে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক অপরাধ, অস্ত্র ,মাদক পাচার, ও জঙ্গি তৎপরতার শংকা দেখা দিয়েছে। সশস্ত্র গ্রæপ গুলোর তৎপরতা আশংকা জনক ভাবে বৃদ্ধি পয়েছে। এ সমস্ত ক্যাম্পে আইন শৃংখলা বাহিনীর অবস্থান, নজরদারী প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে তাদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। এদের তৎপরতায় প্রত্যাবাসন তৎপরতাও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয়দের জন্যতো বটেই আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাড়াতে পাড়ে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। জানা গেছে রোহিঙ্গা কেন্দ্রিক এসব গ্রæপের সাথে স্থানীয়দের রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। এ সম্পর্কের জের ধরে যে কোন ধরনের রাস্ট্রবিরুধী কর্মতৎপরতা পরিচালনা অসম্ভব নয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন,
রোহিঙ্গা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্যাম্প গুলোতে দিনে এনজিও ও রাতে রোহিঙ্গারা নিয়ন্ত্রন করছে। স্থানীয়রা অসহায় হয়ে পড়েছে। তাই রোহিঙ্গাদেরকে নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখা জরুরী। বিশেষ করে পাহাড়ে এদের স্বশস্ত্র অবস্থান উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের দুজন স্থানীয় নেতাকে খুন করেছে রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসীরা। এদের আসল খুনীকে আটক করা সম্ভব হয়নি এখনো।

Comment here