রোহিঙ্গা সমাচার

মিয়ানমারে মাজুমা-আয়েশারা ধর্ষণের শিকার

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী :teknaf-pic-majoma
কামাল হোসেনের স্ত্রী মাজুমা বেগম, মিয়ানমারের খেয়ারী প্রাং গ্রামের বাসিন্দা, গত ২০ নভেম্বর রবিবার সকালে মিয়ানমার বর্ডার অতিক্রম করে টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এখানে আসার দু’দিন আগে শুক্রবার সকালে কামাল হোসেনের বাড়ীতে হানা দেয় সেনা বাহিনী। পালিয়ে যায় কামাল হোসেন গৃহকর্তা। সেনা বাহিনী দু শিশু পুত্র আব্দুস সালাম (৪) ও মোঃ সালাম (৩) চোখের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর মাজুমা বেগম কে ৫/৬ জন সেনা সদস্য ধর্ষণ করে। এক পযার্য়ে মাজুমা বেগম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা ফেলে চলে যায়। পরে এক নিকট আত্বীয় মাজুমা বেগমকে উদ্ধার করে । ঘটনার দু দিন পর সীমান্ত ক্রস করে টেকনাফ পৌছেঁ। লেদা রোহিঙ্গা বস্তির হাসপাতাল হতে চিকিৎসা নিয়েছে সে। স্বামীর হদিস মেলেনি এখনো তার। পাচঁ সন্তানের জননী মাজুমা বেগম দু’ সন্তান হারিয়ে আরো তিন সন্তান তাসমিন আরা (৭),ধলা সোনা (৫) ও খুরশিদা (২) সাথে নিয়ে এখন অবস্থান করছে লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা আবুল কাসেমের ঘরে। এখানে আশ্রয় নিয়ে এ ধরনের ধর্ষনৈর শিকার বদি আলমের স্ত্রী আয়েশা বেগমও। আয়েশা বেগম জানান, সেনা সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। তিন ধরে স্বামী কোথায় হারিয়ে গেছে তার খোজঁ পাওয়া যাচ্ছে না, এক পুত্র সন্তান নিয়ে বাংলাদেশে এসে প্রাণ রক্ষা করেছি। এখানে এসে চিকিৎসাও নিয়েছি।
সেনা বাহিনীর সদস্যদের নির্যাতনের শিকার মাজুমা বেগম জানান, কি বলবো আর সব তো হারিয়েছি। দু শিশু পুত্রকে চোখের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্বী কোথায় পালিয়েছে তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তিন শিশু সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো, কিভাবে খাওয়া তার হিসেব মিলাতে পারছিনা। এখনো রক্ত ক্ষরন হচ্ছে। এই মাত্র চিকিৎসা নিয়ে আসছি।
আর যাতে সে ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে না হয় এমন ব্যবস্থা নিয়ে কেউ কি এগিয়ে আসবেনা এ প্রশ্ন তার।
আ¤্রয় দানকারী আবুল কাসেম জানান, ২০ নভেম্বর সকালে রক্তাত্ত অবস্থায় এ দু রোহিঙ্গা মুসলিম নারীকে রাস্তার পাশে পেয়ে আ¤্রয় দিয়েছি। জানিনা তাদের কপালে কি আছে।

Comment here