জাতীয়সারাদেশ

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ড. ইউনূসকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ:
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ড. ইউনূসকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ
শ্রম আইনের দশটি নিয়ম লঙ্ঘন করায় করা মামলায় গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে। ড.ইউনূস ছাড়াও তার প্রতিষ্ঠানের আরো তিনজনকেও আদালতে হাজির হওয়ার জন্য এ সমন জারি করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচার রহিবুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে করা ফৌজদারি মামলা আমলে নিয়ে এ সমন জারি করেন। বিচারক ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের সেরেস্তাদার জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন। খুব শিগগিরি তাদের ঠিকানায় সমন পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

যে ১০টি বিধি লঙ্ঘন করেছে ড. ইউনূসের কোম্পানি

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর গত ১০/১০/২০১৯ খ্রি. তারিখে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) আইন ২০১৩ ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর নিম্নোক্ত ১০টি লঙ্ঘন পরিলক্ষিত হয়। ড. ইউনূসের কোম্পানি এগুলো লঙ্ঘন করেছে :

১. বিধি মোতাবেক শ্রমিক/কর্মচারীদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বহি প্রদান করা হয়নি।

২. বিধি মোতাবেক শ্রমিকের কাজের সময় এর নোটিশ পরিদর্শকের নিকট হতে অনুমোদিত নয়।

৩. কোম্পানিটি বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক রিটার্ন দাখিল করেনি।

৪. কর্মীদের বৎসরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেক নগদায়ন করা হয় না।

৫. কোম্পানির নিয়োগবিধি মহাপরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত নয়।

৬. ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি ও উৎসব ছুটি প্রদান-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড/রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হয় না।

৭. কোম্পানির মুনাফার অংশ ৫% শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠনসহ লভ্যাংশ বণ্টন করা হয় না।

৮. সেফ্টি কমিটি গঠন করা হয়নি।

৯. কর্মীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করালেও কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণ করেননি।

১০. কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করেনি।

সুত্র- দৈনিক বাংলা

Comment here