আন্তর্জাতিকজাতীয়রাজনীতিসারাদেশ

জামায়াতের আলাদা কর্মসূচি নানা আলোচনা

ডেস্ক নিউজ। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলন প্রস্তুতির মধ্যেই ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় জামায়াত। জোট ছাড়লেও বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের সঙ্গে মিল রেখে কিছু কর্মসূচিও পালন করে দলটি। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সেই কর্মসূচিতে ছেদ পড়েছে। দলটি আলাদাভাবে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি কর্মসূচি পালনও করেছে। আগামীকাল সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ বরাবর আবেদন করেছেন দলটির নেতারা। যদিও এখনো ডিএমপি থেকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, সারা দেশেই সমাবেশ করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

অনুমতি না পেলে সমাবেশ হবে কিনা এমন প্রশ্নে তারা জানিয়েছেন, অতীতেও অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচি হয়েছে। অনুমতি না পেলেও সমস্যা হবে না।
ওদিকে জামায়াতের এককভাবে কর্মসূচি পালন করা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। অনেকে বলছেন, চলমান বিরোধী জোটের আন্দোলনের বাইরে জামায়াত কী নতুন কোনো অবস্থানে থাকতে চায় কিনা। সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা করে জামায়াত এমন অবস্থান নিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নও উঠেছে। যদিও দলটির নেতাদের দাবি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজস্ব শক্তি নিয়ে চলতে চায় জামায়াত। এজন্য সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। মাঠের কর্মসূচির চেয়ে অভ্যন্তরীণ কর্মসূচি পালনে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। দলটির একটি সূত্রের দাবি বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনে অংশ নেয়ার আগ্রহ থাকলেও তাদের সঙ্গে বিরোধীদের আগ্রহ খুব একটা দেখা যায়নি। জামায়াত শুরুতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকার ঘোষণা দিয়েছিল। এজন্য কিছু কর্মসূচিও পালন করা হয়। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলা ও মামলার শিকার হন নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিবৃতি দেয়া হয়নি। সমবেদনাও জানানো হয়নি। এ ছাড়া কর্মসূচি প্রণয়নের বিষয়েও তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জামায়াত এককভাবে কর্মসূচি পালন করতে চায়।
দলটির নেতারা বলছেন, আমীরসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতা এখনো কারাগারে। তাদের জামিন এবং মুক্তি মিলছে না। সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হলেতো এমন পরিস্থিতিতে থাকার কথা না। তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আরও অনেক সময় বাকি। এই সময়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জামায়াত সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

Comment here