ক্রাইমটেকনাফ

টেকনাফে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কাইলা রবি গ্রেফতার: ৫০ হাজার ইয়াবা ও অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার

টেকনাফে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কাইলা রবি গ্রেফতার: ৫০ হাজার ইয়াবা ও অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার

টেকনাফ প্রতিনিধি :

টেকনাফে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রবিউল আলম প্রকাশ কাইলা রবি (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫। সে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড উলুচামারি গ্রামের আব্দুস শুক্কুর লেড়াইয়া”র ছেলে। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৫ টার সময় উপজেলার হৃীলা উলুচামারি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার অফিসের
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ” গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩ অক্টোবর সকাল ৫:টার সময় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডস্থ উলুচামারি এলাকায় একটি দুর্র্ধষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র‌্যাবের আভিযানিক দলকে দেখে পলায়নকালে ধাওয়া করে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, জনমনে আতংক সৃষ্টিকারী, পাহাড়ী ডাকাত এবং মাদক কারবারী রবিউল আলম প্রকাশ কাইলা রবি’কে গ্রেফতার করে । এ সময় অভিযানস্থল হতে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, সিলিংসহ ১টি লম্বা একনলা বন্দুক, ১টি শর্টগানের কালো রংয়ের কার্তুজ, ২টি শর্টগানের খালি খোসা, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি এন্ড্রয়েড ফোন এবং ২টি সীম উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত রবি আলম প্রকাশ রবিউল আলম একজন দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং কাইলা রবি নামে খ্যাত। সে অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত। এরই পাশাপাশি তার আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে আসছিল। সে অপহরণ দলের একজন সক্রিয় সদস্য হওয়ায় তার সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজনদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হতো দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় এবং বারংবার স্থান পরিবর্তন করে অপহৃত ব্যক্তিদের থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করত। মুক্তিপণের টাকা আদায় করতে অপহৃত ব্যক্তির উপর চালানো হত পৈশাচিক নির্যাতন। এছাড়াও সে দীর্ঘ দিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকের বড় চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে প্রথমে টেকনাফে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে অত্যন্ত কৌশলে আর্থিক লাভের জন্য ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিভিন্ন পন্থায় কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় হত্যা চেষ্টা ও মারামারি, অপহরণ, অস্ত্র, মাদক ও সরকারি কাজে বাধা দান’সহ ৭টি মামলা রয়েছে ।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ ধৃত ও পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলেও জানান
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।
————-

Comment here