খেলাধুলাজাতীয়সারাদেশ

মুমিনুলের পর মুশফিকের সেঞ্চুরি

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০৫ ওভারে ৩৮৪/৩

তামিম-ইমরুলকে ছাড়িয়ে মুমিনুল-মুশফিক

এতো দিন টেস্টে দুটি করে দুইশ রানের জুটি ছিল তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস এবং মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম জুটির। দুই ওপেনারের জুটিকে এবার ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল ও মুশফিক।

মুমিনুল-মুশফিকের তিনটি দুইশ রানের জুটির দুটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে মিরপুরেই চতুর্থ উইকেটে গড়েছিলেন ২৬৬ রানের জুটি। এর আগে সেই বছর জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ২৩৬ রানের জুটি।

টেস্টে দশমবারের মতো দুইশ বা এর বড় জুটি পেল বাংলাদেশ।

৩১৬ বলে দুইশ স্পর্শ করে মুমিনুল-মুশফিকের চতুর্থ উইকেট জুটির রান। তাদের জুটি একশ ছুঁয়েছিল ১৮০ বলে।

১০২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩৭৩/৩। মুমিনুল ১২২ ও মুশফিক ১১৭ রানে ব্যাট করছেন।

মুশফিকের সপ্তম সেঞ্চুরি

সেঞ্চুরির জন্য মোটেও তাড়াহুড়া করেননি মুশফিকুর রহিম। অপেক্ষা করেছেন সঠিক বলের জন্য। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারেই পেয়ে গেলেন সেই বল। আইন্সলে এনডিলোভুর বলে বাউন্ডারি মেরে পৌঁছে গেলেন সপ্তম ট্স্টে শতকে।

১৮ চারে ১৬০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মুশফিক। ৯৫ বলে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি।

১০১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩৫৮/৩। মুশফিক ১০৪ ও মুমিনুল হক ১২১ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের দারুণ সেশন

শেষ দুই বলে হঠাৎ উত্তেজনা। পারবেন মুশফিকুর রহিম? কাজ সারতে ঝুঁকি নেবেন নাকি লাঞ্চের পর এসে সারবেন বাকিটুকু? ঝুঁকি নিলেন না অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। আইন্সলে এনডিলোভুর দুটি বল খেললেন সতর্কতায়। ৯৯ রানে থেকে গেলে লাঞ্চে।

অন্য প্রান্তে আগেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুমিনুল হক। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ও ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরিতে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবালের পাশে। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন যৌথভাবে এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।

মুমিনুল ও মুশফিকের জুটি আগেভাগে ভাঙতে না পারলে বিপদ আছে, আগের দিন সতীর্থদের সাবধান করেছিলেন ক্রেইগ আরভিন। জমে যাওয়া জুটি ভাঙতে পারেনি সফরকারীরা। ৪৯ ওভার ২ বলে ১৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে রানের পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন মুমিনুল ও মুশফিক।

তৃতীয় দিন লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫১। ১৭ চারে ১৫৩ বলে ৯৯ রান করেছেন মুশফিক, মুমিনুল ১৩ চারে ২০৫ বলে ১১৯।

জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে ৮৬ রানে। ২৮ ওভারের প্রথম সেশনে যোগ করেছে ১১১ রান।

মুমিনুল-মুশফিকের দেড়শ রানের জুটি

দ্বিতীয় নতুন বলে দ্রুত রান তুলছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ২৫১ বলে দেড়শ ছুঁয়েছে চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটির রান।

জুটিতে অগ্রণী মুশফিক। ১২৯ বলে ৮০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১২২ বলে ৬৬ রান করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল।

১০০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছিল জুটির রান। ১৮০ বলে ছুঁয়েছিল তিন অঙ্ক।

৯২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩২৮/৩। তৃতীয় দিন সকালে ৯৩ মিনিটে ৮৮ রান যোগ করেছেন মুশফিক ও মুমিনুল। মুশফিক ৮৪ ও মুমিনুল ১১১ রানে ব্যাট করছেন।

তামিমকে স্পর্শ করলেন মুমিনুল

অধিনায়ক হিসেবে বিবর্ণ শুরুর পর ক্রমেই নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন মুমিনুল হক। ভারত সফর একদমই ভালো কাটেনি। পাকিস্তানে থিতু হতে পেরেছিলেন কিন্তু দুটি সম্ভাবনাময় ইনিংসকে দিতে পারেননি পূর্ণতা। দেশের মাটিতে নেতৃত্বর অভিষেকে পেলেন তিন অঙ্কের দেখা।

ডোনাল্ড টিরিপানোকে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান মুমিনুল। টেস্টে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের এটি নবম সেঞ্চুরি। স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি নয় সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকে।

২০৮ মিনিটে ১৫৬ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে মুমিনুলের ব্যাট থেকে এসেছে ১২টি চার।

৮৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৯০/৩। মুমিনুল ১০২ ও মুশফিকুর রহিম ৫৭ রানে ব্যাট করছেন।

মুশফিকের ফিফটি, জুটির একশ

ফেরার ম্যাচে ফিফটি করলেন মুশফিকুর রহিম। ভিক্টর নিয়াউচির বলে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের বাউন্ডারিতে মুমিনুল হকের সঙ্গে তার জুটির রান ছুঁয়েছে তিন অঙ্ক।

১০০ বলে এসেছিল চতুর্থ উইকেট জুটির ফিফটি। একশ হয়েছে ১৮০ বলে। জুটিতে অগ্রণী মুশফিক। ৯৫ বলে করেছেন ৫৩, মুমিনুল ৮৫ বলে ৪৬।

নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান সফরে না যাওয়া মুশফিক ৯৫ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি।

৮০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৭৩/৩। মুশফিক ৫৩ ও মুমিনুল ৯০ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের লিড

দিনের অষ্টম ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। ফিফটির দুয়ারে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিম, সেঞ্চুরির কাছে মুমিনুল হক। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে দুই জনের জুটি।

৭৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৭/৩। মুমিনুল ৮৯ ও মুশফিক ৪৯ রানে ব্যাট করছেন। স্বাগতিকরা এগিয়ে ২ রানে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে থেমেছিল ২৬৫ রানে।

বড় লিডের আশায় বাংলাদেশ

ক্রিজে জমে গেছেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। সবশেষ টেস্টে জিম্বুয়ের বিপক্ষে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। মুশফিক করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি, দেড়শ ছাড়িয়ে থেমেছিলেন মুমিনুল। ব্যাটিংয়ের জন্য অপেক্ষায় দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও লিটন দাস।

৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল ৭৯ ও মুশফিক ৩২ রানে ব্যাট করছেন।

দ্বিতীয় দিন দুয়েকটা বল বাড়তি টার্ন করেছে। তবে উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। নিজেদের ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারলে বড় লিড অসম্ভব নয়।

দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৬৫

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭১ ওভারে ২৪০/৩ (তামিম ৪১, সাইফ ৮, শান্ত ৭১, মুমিনুল ৭৯*, মুশফিক ৩২*; টিরিপানো ১৫-৩-৪০-১, নিয়াউচি ১৩-২-৪১-১, রাজা ২২-১-৭৫-০, টিশুমাম ১২-০-৪৬-১, এনডিলোভু ৯-১-৩৩-০)

Comment here