ক্রাইমটেকনাফ

হ্নীলায় বিষ প্রয়োগ করে ১ডজন মুরগ-মুরগী নিধন

সাদ্দাম হোসাইন:হ্নীলায় ক্ষেতে মুরগী-মুরগী যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে মালিক বিষ প্রয়োগ করে। বিষাক্ত খাবার খেয়ে এক অসহায় দরিদ্র পরিবারের ১ডজন মুরগ-মুরগী নিধন করায় স্থানীয় জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই গৃহপালিত প্রাণী ঘাতকদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী উঠেছে।
জানা যায়-১৬জানুয়ারী সকাল ৯টারদিকে ১২টি মৃত মুরগ-মুরগী নিয়ে উপজেলার হ্নীলা বাসষ্টেশনে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের নিকট সুবিচারের জন্য আসে। হ্নীলা বড় লেচুয়াপ্রাং এলাকার দরিদ্র ও অসহায় অছি উল্লাহ পুত্র বেলাল উদ্দিন জানান,তার বসত-বাড়ির শেষ সম্বল মুরগ-মুরগী পাশ্ববর্তী প্রভাবশালী মৃত আবু শামার পুত্র নুর হোসেনের ক্ষেতে যায়। এই ব্যাপারে ক্ষেত মালিক পক্ষ কোন ধরনের অভিযোগ না দিয়ে ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করে। সন্ধ্যায় মুরগ-মুরগী ঘরে যাওয়ার সময় একটি হঠাৎ মারা যায়। সকালে মুরগ-মুরগীর ঘরে ১১টি মৃত পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে দরিদ্র বেলাল উদ্দিন স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের নিকট শালিস দিতে গেলে তারা উপজেলা পশু হাসপাতালের শরণাপন্ন হয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। কিন্তু আর্থিক অভাবের কারণে সে থানায় যেতে পারেনি। এদিকে দরিদ্র ও অসহায় বেলাল উদ্দিন মৃত ১ডজন মুরগ-মুরগী নিয়ে বিচারের আশায় হ্নীলা বাসষ্টেশনে কান্না-কাটি করে ঘুরে বেড়ালেও কেউ এই বর্বরতার সুবিচার করে দিতে না পারায় মৃত মুরগ-মরগী ফেলে দিয়ে সে নিরাশ হয়ে কেঁদে কেঁদে বাড়ি ফেরার পথে বিষয়টি সংবাদকর্মীদের চোখে পড়ে। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত নুর হোসনের ০১৮৬৩-০৭৩১৯০ মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও রিসিভ না করা কোন ধরনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোছন জানান-ভূক্তভোগী বেলাল উদ্দিন মৃত মুরগ-মুরগী নিয়ে বিচার দিতে আসার বিষয়টি স্বীকার করেন। তখন বিনা কারণে বিষ প্রয়োগ করে এসব প্রাণী নিধনের বিচারের দাবী উঠে। ###

Comment here