এক্সক্লুসিভ

বাঙালী নারীদের অন্যান্য পোষাকেও মানায় স্যার


মাকসুদা আক্তার প্রিয়তিঃ
 বাঙালী মেয়েদের খাওয়াবেন তিন বেলা ভাত, খাওয়াবার পর পর দিবেন একটা লম্বা ঘুম। এর উপর ভেজাল খাবার, তার সাথে চর্বিওয়ালা মাংশ, তেল দিয়ে বানানো মজাদার খাবার। এর মধ্যে নেই একটু ব্যায়াম করবার জন্য যায়গায় যায়গায় জিম। একটু যে রাস্তায় নারীরা হাঁটতে যাবে তারও অবকাশ নেই। রাস্তা ঘাটের অবস্থা কে না জানে। তো উনারা মোটা, ৫ ফুট ১ ইঞ্চি বা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি হবে না তো আর কে হবে? উনাদের কি স্পোর্টি করে তুলতে চেয়েছেন কখনো? না ভালো / সুসম খাবারের খাদ্যাভাস করেছেন কিংবা সে ব্যবস্থা করে দিতে পেরেছেন? তাহলে আপনি বা রবীন্দ্রনাথ যেই গঠনে পশ্চিমা মেয়েদের দেখেছেন সেই গঠনেও বাঙালী নারীদের দেখতেন, তবে আজকাল ধর্মের জাতাকলে কতোখানি পদর্শন করতে আপনার সমাজ দিতো, তা নিয়ে সন্দিহান।

এর উপর আবার নতুন ফ্যাশন হিসেবে এসছে হিজাব গত ৫/৭ বছর ধরে। যৌনাবেদনময় আর হতে পারলো কই? তবে আমার মনে হয় স্যারকে কয়েকটা ফ্যাশন শোতে নিয়ে যাওয়া উচিৎ। বাঙালী মডেলওরা যে সুন্দরী আর ফিট হতে পারে তা দেখে আসতেন।

শাড়ী থেকে আর যৌনাবেদনময়ী পোষাক আর কি হতে পারে? আমি ব্যাপারটা দেখি এভাবে যে বাঙালী মেয়েদের ছাড়া আর অন্য কোনো জাতির মেয়েদের শাড়ী মানায় না, ঠিক যেমন চায়না বা জাপান এর জাতীয় পোষাক আমাদের দেখতে খুব একটা ভালো লাগবে না, যেহেতু মনস্তাত্বিকভাবে আমরা ধরে নিয়েছি যে ওগুলো ঐ সুনির্দিষ্ট দেশীয় পোষাক,আমাদের মানাবে না।

এখন কথা হচ্ছে বেঁটে, মোটা কি ঐসব দেশ বা অঞ্চলে নেই কিংবা পশ্চিম দেশে? তাহলে উনারা উনাদের পোশাক বাদ দিয়ে অন্য কোন পোশাক পরছেন? অথবা, উনাদের পোশাক কি হওয়া উচিত বলে স্যার মনে করেন?
স্পস্ট ভাবে বুঝেছি স্যার এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো শাড়ীকে প্রমোট করা, যেটা দারুন একটা ব্যাপার। আমার প্রিয় পোশাক শাড়ী । তবে বাঙালী নারীদের অন্যান্য পোষাকেও মানায় স্যার।
তার উদাহরণ লাগবে কি স্যার?

Comment here