ক্রাইমরোহিঙ্গা সমাচার

রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরাতে তৎপর মিয়ানমার প্রশাসন : রাখাইনের নিজ গ্রামে ফিরে গেছে অর্ধশত পরিবার


টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফের জাদিমোরা আশ্রয় ক্যাম্পে অবস্থান নেওয়া বেশ কিছু রোহিঙ্গা পরিবার মিযানমারে চলে গেছে। বিশেষ করে জাদিমোরা নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে গত কয়েক দিনে অর্ধশত রোহিঙ্গা পরিবার মিয়ানমার ফিরে গেছে বলে পাশ্ববর্তী রোহিঙ্গা পরিবার গুলো জানিয়েছে। তবে বিষয়টি সরাসরি ক্যাম্প সংশ্লিষ্টরা কেউ এখনো নিশ্চিত করেনি। জানা গেছে মোবাইল ফোন ও অপারে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করছে যাতে সেখানে ফিরে যায়। বিশেষ করে অবস্থাসম্পন্ন পরিবার গুলোকে তাদের স্বার্থে এবং এপারে ইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন অপর্কম সংগঠনের জন্য মিয়ানমারের সরকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য এ কাজে তৎপর রয়েছে। রাতের আধারে বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষীকে ফাকিঁ দিয়ে কিছু রোহিঙ্গা এপার ওপার যাতায়াত করছে। স্থানীয় একাধিক সুত্র মতে জাদিমোরা এলাকার আমির হামজার তত্বাবধানে মৃত তাজর মুল্লুকের ছেলে নুরুল ইসলাম,আকতার হোসেন বগাইয়া,নুর মোহাম্মদ, মুহিবুল্লাহসহ রোহিঙ্গা সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বেশ কিছু দিন ধরে জাদিমোরা ওমর খাল হতে গুমতলী সীমান্ত দিয়ে নৌকা যোগে মানব পাচারে ব্যস্ত রয়েছে। খোজঁ নিয়ে জানা গেছে , গত দু সপ্তাহে অন্তত ১৫ টি রোহিঙ্গা পরিবার সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার ফিরে গেছে। যারা কিনা নাফ নদীর ওপাওে রাইম্যাবিল গ্রামে নিজেদেও বাড়ীঘরে বসবাস শুরু করেছে। এসব পরিবারের মধ্যে ৪ টি পরিবারের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন, টেকনাফ নয়াপাড়া ২৬ নং ক্যাম্পের বøক ডি-৮ এলাকার শাদেক হোছন ও শাদেকা বেগম দম্পতি, ২৭ নং ক্যাম্পের বøক-সি এলাকার আবুল হোছন ও আয়েশা বেগম দম্পতি, বালুখালী এ-৬ এর মো:ইউনুছ ও রেহেনা বেগম দম্পতি এবং বালুখালী এপি বøকের নুরুল ইসলাম , জাদিমোরা এলাকার আব্দুর রহমান (ছোট গওজিবিল), একরাম (মংডু নাপিতের ডেইল) ও হাবিব উল্লাহ (রইংঙ্গাডং) পরিবার।
১৭ নং ক্যাম্পের মাঝি আব্দুর রহমান ও ২৬ নং ক্যাম্পের জাফর মাঝি সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মিয়ানমার কতৃপক্ষ বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের খবর দিচ্ছে , সেখানে ফিরে গেলে শান্তিতে থাকতে পারবে। আর কোন সমস্যা হবে না। এরফলে ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বেশ কিছু পরিবার সীমান্ত অতিক্রম করে নিজ দেশে ফিরে গেছে।
জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাবেক হেড মাঝি আলী জোহার জানান, মিয়ানমারের আরাকান এলাকার মংডু ও বুথিডং শহরে লুকিয়ে থাকা গ্রামের রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ঘরে ফিরে যেতে উদ্বুর্দ্ধ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধে সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তৎপর রয়েছে বলে দাবী করে বডার্র গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২ ব্যাটলিয়ান উপ- অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, প্রতিনিয়ত বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত পাহারা দিয়ে যাচ্ছে। এরপরও সুযোগ বুঝে মাঝেমধ্যে রোহিঙ্গা যাতায়াত বা ইয়াবা পাচারকারীরা অপতৎপরতা চালাতে থাকে। যখন যেখানে এ ধরনের অপতৎপরতার খবর পাওয়া যায় বিজিবি টহল টিম সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছে বলেও জানান তিনি।

Comment here