কক্সবাজারজাতীয়

সেবায় এগিয়েছে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস


Cox-Passport-Pic.jpg

ইমাম খাইর, কক্সবাজার:
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল ও দালালিপনা অনেকটা কমে গেছে। পাসপোর্ট করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছেনা আবেদনকারীকে। দুই নাম্বার পথে পাসপোর্ট করার সুযোগ সাফ বন্ধ হয়ে গেছে। নিয়মিত কাউন্সিলিং, প্রচারণা ও আন্তরিক সেবায় এগিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস।
পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য এখন আর অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছেনা আবেদনকারীকে। নির্ধারিত সরকারী ফি-তে পাসপোর্ট ডেলিভারী পাওয়া অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে। পুরো অফিসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বেড়েছে সেবার মান। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কড়া নজরদারী করা হচ্ছে। কেউ যাতে দালালিপনায় হাত না বাড়ায়- সে বিষয়ে তীক্ষè নজর রাখছেন সহকারী পরিচালক (এডি) আবু নাঈম মাসুম।
ইতোমধ্যে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে শ্রেষ্টত্বের স্বীকৃতিও দিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকার আগারগাঁওস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ‘পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৭’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘শ্রেষ্ট কর্মকর্তা ২০১৬’ সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ানসহ উর্ধ্বতন কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে, পাসপোর্ট অফিসে সেবা বাড়লেও ‘পুলিশী প্রতিবেদন’ নিয়ে ভোগান্তি এখনো কাটেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

অফিসের কাজে এরকম নিয়মিত ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম।

এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে চলমান পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। দেওয়ালে দেওয়ালে বিভিন্ন সেবা সম্পর্কিত তথ্য লিখা ব্যানার-পেস্টুন শুভা পাচ্ছে। আবেদনকারীদের মিষ্টিমূখ করানো হচ্ছে। জনসচেতনতা তৈরীকে চলছে ব্যাপক মাইকিং-প্রচারনা।
কক্সবাজার সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম বলেন, পাসপোর্ট অফিস এখন শতভাগ দালাল ও দালালিপনামুক্ত। নিজের সেবা প্রাপ্তি নিজেই নিশ্চিত করতে উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণা করা হচ্ছে। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগের চেয়ে সচেতন। তারা আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট সপ্তাহে সহজভাবে পাসপোর্ট পাপ্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং চলছে। জনগণের হাতে হাতে লিপলেট পৌঁছিয়ে দেয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত জনবল সংকটের মাঝে সেবায় এগিয়ে চলছে পাসপোর্ট অফিস। তবে, প্রয়োজনীয় সংখ্যা লোকবল নিয়োগ পেলে সেবাপ্রাপ্তি আরো বাড়বে বলে জানান সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম।

কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুমের কাজের স্বীকৃতি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অধীনে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ২০০৯ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলার অধিবাসীদের জন্য হাতে লেখা পাসপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে কাযর্ক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট’ (এমআরপি)ও ‘ভিসা প্রকল্প’ এর আওতাভুক্ত করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ আগস্ট শহরের বাহারছড়ার গোলচত্ত্বর সংলগ্ন এলাকায় নব-নির্মিত ভবনে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস স্থানান্তরিত হয়। গেল ৬ মাসে কক্সবাজারের পাসপোর্ট অফিস থেকে অন্তত ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। সেবার মান আরো বাড়ানো হলে এখাত আরো আয় বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

Comment here