আন্তর্জাতিকজাতীয়

বাংলাদেশে শিশু বিয়ের অবসান ঘটাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা উদ্বোধন

ঢাকা,

গস্ট, ২০১৮: বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ, ক

র্মসূ

চি ও সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুবিয়ের অবসান ঘটাতে আজ (বৃহস্পতিবার) শিশুবিয়ে বন্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনপিএ) উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

এনপিএ-এর লক্ষ্য হচ্ছে ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে বন্ধ করা ও ২০২১ সালে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের হার এ

ক তৃতীয়াংশ কমানো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে শিশুবিয়ের পুরোপুরি অবসান ঘটানো।

 

শিশুবিয়ে বন্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) উদ্বোধন উপলক্ষে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ যৌথভাবে আজ রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম

পি প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক সিএমজি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুয়াজ্জেম হোসেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওরলা মারফি এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার।

 

শিশুবিয়ে বন্ধে বহু-প্রতীক্ষিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা উদ্বোধ

নের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেন, “শিশুবিয়ে বন্ধ করা সরকার এবং তার উন্নয়ন অংশীদার— উভয়ের জন্যই একটি অগ্রাধিকার, কেননা এটি শৈশবকে সংরক্ষণ করবে, শিশুদের শিক্ষা ও জীবনের অধিকারকে সুরক্ষিত করবে, তাদের সহিংসতা ও শোষণের মুখোমুখি হওয়া কমাবে এবং প্রজন্মান্তরে দারিদ্র্য কমাতে অবদান রাখবে।”

একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এনপিএ-তে বর্ণিত সহায়ক নীতিমালা, কৌশল ও প্রত্যাশিত ফলাফলের মাধ্যমে অংশীদাররা বাংলাদেশ সরকারকে এ দেশে শিশুবিয়ে বন্ধে সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসবে এবং এর মধ্য দিয়ে কিশোর-কিশোরীদের অধিকারের পক্ষে কাজ করবে, যাতে তারা উন্নত ভবিষ্যৎ পায়।

শিশুবিয়ে বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে শিশুবিয়ে নিরোধ আইন, ২০১৭ প্রণয়ন করেছে এবং শিশুবিয়ে ঠেকাতে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে শিশুবিয়ে বন্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) তৈরি করা হয়েছে।

 

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনার দীর্ঘ, বিস্তৃত ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক নেতৃত্বে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গড়ে তোলা হয়েছে।  ঢাকা এবং দেশের সাত বিভাগে যতো আলোচনা হয়েছে তাতে কেবল বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও স্থানীয় পর্যায়ের কর্তৃপক্ষই নয়, বিস্তৃত পরিসরের আইএনজিও, এনজিও, দাতা সংস্থা, জাতিসংঘের সংস্থা, সুশীল সমাজের অংশ, ধর্মীয় প্রধান, কিশোর-কিশোরীরাও সম্পৃক্ত ছিল।

জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময়সীমা হচ্ছে ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৯-৩০ অর্থবছর পর্যন্ত।  ২০১৮-১৯ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

Comment here